সারা শহরে আগুন জ্বলছে। উত্তরোত্তর বোমা ফাটছে। ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। বাড়ি ফিরছি। যানবাহন কিছু নেই, হেঁটেই বাড়ি ফিরছি। বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছতেই পুলিশ ধরলো। হায় কপাল! তীরে এসে তরী ডুবলো।
পুলিশ অফিসারঃ কথায় যাচ্ছেন?
আমিঃ জী, বাড়ি ফিরছি।
পুলিশ অফিসারঃ আপনার গতিবিধি তো সুবিধার মনে হচ্ছে না। ব্যাগে কি?
আমিঃ জী, নোট খাতা।
পুলিশ অফিসারঃ হুমম…চলেন, গাড়িতে ওঠেন।
আমিঃ আমি তো কোন দোষ করিনি। বাড়ি ফিরছিলাম।
পুলিশ অফিসারঃ চলেন, পুলিশ স্টেশনে গিয়ে কথা হবে।
কাছেই একজন লেডী পুলিশ অফিসার এ’সব শুনছিলেন। এগিয়ে আসলেন।
লেডী পুলিশ অফিসারঃ স্যার, লেট মি হ্যান্ডল দিস! আপনি আসুন।
আমিঃ জী, বলুন।
লেডী পুলিশ অফিসারঃ পাঁচ হাজার টাকা দেন।
আমিঃ আমি তো কোন দোষ করিনি। টাকাটা অবশ্য আমি আপনাকে দিতে পারবো। আজকে বেতন পেয়েছি। টাকাটা একটু বেশি হয়ে গেলো না!
লেডী পুলিশ অফিসারঃ আমরা কতজন মানুষ দেখেছেন? স্যার তো আপনাকে থানায় নিয়ে যেতেন। নিতান্ত আপনাকে দেখে মনে হলো আপনাকে একটু favour করা যায়।
আমিঃ ঠিক আছে। টাকাটা নেন। এরপর আবার ধরলে কি করব?
লেডী পুলিশ অফিসারঃ আমাকে ফোন করেন। আমার নম্বর নেন।
আমিঃ নম্বরটা দেন। আমারটাও নেন।
লেডী পুলিশ অফিসারঃ নম্বরটা save করে রেখেন। আমি আপনাকে পরে ফোন দেবো, ধরেন!
আমিঃ ঠিক আছে।
লেডী পুলিশ অফিসার মিষ্টি করে হাসলো।
নাক বরাবর সোজা হাঁটা ধরলাম। দ্রুত হেঁটে বাড়ির গলির মুখে পৌঁছতেই আবার পুলিশ ধরলো।
পুলিশ অফিসারঃ কোথায় যাচ্ছেন?
আমিঃ জী, বাড়ি যাচ্ছি। গলির মুখেই আমার বাড়ি।
পুলিশ অফিসারঃ ব্যাগে কি?
আমিঃ জী, নোট খাতা।
পুলিশ অফিসারঃ গাড়িতে ওঠেন।
আমিঃ জী, আমি তো কোন দোষ করিনি। একটু আগেই একদল পুলিশ আমাকে ধরেছিলো। তারা আমাকে ছেড়ে দিয়েছে। বলেছে আবার ধরলে ফোন দিতে।
পুলিশ অফিসারঃ ফোন দেন।
আমি লেডী পুলিশ অফিসারের ফোন নম্বর খোঁজার চেষ্টা করলাম। লেডী পুলিশ অফিসারের নাম ভুলে গেছি। ফোন নম্বর খুঁজে পেলাম না।
আমিঃ জী, ফোন নম্বর খুঁজে পাচ্ছি না।
পুলিশ অফিসারঃ ঠিক আছে। গাড়িতে ওঠেন।
আমিঃ ঠিক আছে!
০৬.১২.২০১৪