রফিক স্যার ক্লাশে ঢুকেই অন্তত একবার হলেও মনে করিয়ে দেন আমরা হলাম এই শহরের একমাত্র মনুষ্য স্টুডেন্ট আর বাকী সব কলেজের স্টুডেন্টরা গরু ছাগল। উদ্দেশ্যটা বিশাল-মানুষ হবার, শ্রেষ্ঠ হবার উপাধিটা বজায় রাখতে হবে, উত্তম পাঠ করতে হবে। আমরা কানাঘুষা করলেও ভেবে নেই, প্রজ্ঞাময় একজন টক শো সেলিবিরেটি স্যার যখন বলেন -ঠিকই আছে। আমাদেরই কেউ তো শ্রেষ্ঠ বলেছেন। আমাদের জন্য গর্বের। কিন্তু আমার যতগুলো ঘনিষ্ঠ পাড়াতো বন্ধু আছে তারা কেউ এখানে আমার সাথে পড়ে না। তারা সব কি তবে গরু ছাগল? আমি মাঝে মাঝে ভাবিত হই। শেয়ার করি।
আমার মত অনেকেরই ঘনিষ্ট বন্ধু বান্ধব ও স্যারের কথা মতো গরু ছাগল। তবু চুপ থাকি, ‘এনজয় সুপ্রিমেসি ওভার’ বলে একটি মনুষ্য সুখ আছে, আমাদের সে সুখ বিনে পয়সায় পেতে বারণ হবে কেনো? অথচ গতরাতে স্যারের টক শোর বিষয় ছিলো ‘শিক্ষালয় নয়, অধিক পাঠ চর্চাই ভালো শিক্ষার্থী গড়ে তোলে’। স্যারের সে কি মিষ্ঠ ভাষা, গরু ছাগল সে সব শিক্ষক যারা অনুনন্ত শিক্ষালয়ের বদনাম করেন।
পর দিন আমিই জিজ্ঞাস করলাম, স্যার আপনি আর কখনও কাউকে গরু ছাগল বলবেন না। একটা দল আগেই পাকিয়ে ছিলাম। স্যার যখন তেড়ে এলেন, পুরো দল নিয়ে ক্লাশ পরিত্যাগ করলাম। হেড স্যারের কানে গেলো। ছুটে এলেন। সবাইকে বারন্দায় আবিষ্কার করলেন। হুমকি দিলেন, পাঁচ মিনিট সময় দিলেন, বললেন কে কে রফিক স্যারের ক্লাশ করতে চাও না… …হুরমুর করে সবাই ফিরে গেলো, আমি থমকে রইলাম, শ্রেষ্ঠ কলেজের বেঈমান সহপাঠী গুলোকে চিনলাম।