বৈধ দূষণ

গ্রামের এলাকাতে তখন মাত্র প্রযুক্তির ছোঁয়া বইতে শুরু করেছে। আমি টিন এইজড, স্কুল পড়ুয়া।

সহজ প্রচারের উদ্দেশ্যে আইসক্রিম ওয়ালারা বেঁছে নিলো মাইকিং সিস্টেম। ভ্যানগাড়িতে মাইক সেট করে দিয়ে সেখানে উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সিতে হরেক রকমের গান বাজিয়ে আশেপাশের কয়েক গ্রাম পর্যন্ত নিজেদের আগমনী জানিয়ে দিতো তারা। নতুন ধরনের মার্কেটিং বিক্রিও বাড়িয়ে দিয়েছিলো বেশ।

তো এইভাবে কয়েক সপ্তাহ যাওয়ার পর গ্রামবাসী বিরক্ত বোধ করতে শুরু করলো। লাগাতার শব্দদূষণে তাদের সাধারণ জীবন ব্যাহত হতে হতে অতিষ্ঠতার মাত্রা ছাড়ালো।
সেই ক্ষোভ একদিন প্রকাশও পেলো। আইসক্রিম বিক্রেতাকে শাসিয়ে দেওয়া হলো এই শব্দ দূষণের বেপারে, ক্ষোভের মাত্রা এতটাই ছিল যে এক পর্যায়ে অর্ধচন্দ্রও আপতিত হয়েছিলো এক বিক্রেতার উপর।

গল্প এখানেই শেষ হতে পারতো, যদিও সেরকমটা হয়নি।
আইসক্রিম ওয়ালাদের পেট চালাতে হবে, বেচা-বিক্রি বন্ধ করে বসে থাকলেতো চলবেনা। কাজেই কিছুদিন বাদেই দেখা গেলো নতুন গেইম প্ল্যান। সেই একই আইসক্রিম, একই বিক্রেতা, একই মাইক! শুধু গানের বদলে এবার শোনা গেলো উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির হরেক বক্তার রেকর্ডেড ওয়াজ। সেই ওয়াজে চিল্লাপাল্লা হয়, ফ্রিকোয়েন্সী সর্বোচ্চ স্কেলে উঠে, শব্দদূষণ হয়।
কিন্তু সেই দূষণ নিয়ে আর কোন অভিযোগ শোনা গেলোনা।

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত