ণর্ষধ

খুব সন্তর্পণে হাঁটে শামীম। চারদিকে একবার চোখ বুলিয়ে রাস্তায় নেমেছে সে। সকাল সকাল প্রাইভেট পড়তে যাওয়া মারাত্মক রিস্কি। এইতো সেদিন কে বা কারা রাসেলকে ধরে নিয়ে গেছে। তিনদিন লাপাত্তা থাকার পর লাশটা পাওয়া গিয়েছিল মাত্র। বুকটা কিঞ্চিৎ ধুকপুক করছে। কোনদিন যে কী হয়ে যায় কে জানে?

রফিক সাহেব আর তার মা উৎকণ্ঠায় থাকে। যুবক ছেলে। কখন কী ঘটে বলা যায় না। প্রায়ই ছেলেকে বুঝায়- রাত বিরেতে যেন কোথাও না যায়। তাই সন্ধ্যার আগে আগেই বাড়ি ফিরে আসে সে। শুধু তাই না, সবার পরামর্শমত বড়সড় একটা পাঞ্জাবি আর ঢোলা পাজামা পরছে ইদানিং। কিছুদিন আগে শখ করে একটা জিন্সের প্যান্ট পরতে চেয়েছিল সে। কিন্তু ফিটিং সেই প্যান্টটা পরার অনুমতি দিতে কেউ সাহস করেনি।

চুপচাপ মাটির দিকে তাকিয়ে ভদ্র ছেলেদের মত একমনে হাঁটতে থাকে সে। রাস্তায় আরো দু’একটা ছেলেকে দেখতে পাওয়া যায়। বাবা গো, কী দুঃসাহস! টাইট ফিটিংস টি-শার্টের সাথে কিনা আবার ন্যারো জিন্স! ছেলেগুলো নিশ্চয় বখে গেছে। চরিত্র বলে কিছু নাই। ছিঃ।

কোচিং সেন্টারটার ঠিক কাছেই অঘটনটা ঘটল। ল্যাম্পপোস্টের আড়াল থেকে কয়েকটি মেয়ে বের হয়ে আসে। তাদের চোখে রাত্রি জাগার ক্লান্তি স্পষ্ট। সিগারেটটা ফুস করে মুখ থেকে ফেলে দিয়ে খপ করে ধরে ফেলে ওর কচি হাতটাকে। শক্তিশালী সেই মেয়েদের সাথে সে পারবে কেন?

কীরে গীমা, কই যাস? একদিনে বুঝিসনি, না! আজ শালা তোকে বুঝিয়ে ছাড়ব কত ধানে…

দেখ ব্যাটা এখন পর্দা করে – পাঞ্জাবিটা টান দিয়ে একজন হাহা করে হাসতে থাকে।

বাড়তি দণ্ডটাতে আজও তীব্র ব্যথা। কাউকে বলেনি। ওদের কাছে ক্লিপ্স ছিল। ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে বলে…।

…একটা মেয়ে আবার খুব বিকৃত। আঘাত না করলে নাকি তার ভাল্লাগে না! ওই সময়টাতে স্ক্রুটামে আঘাত করা তার খুব পছন্দের। ক্যারমবোর্ডের স্ট্রাইকে হিট করার মত টোকা দিয়েছিল একটা। সাথে সাথেই বেহুশ হয়ে গিয়েছিল সে।

আবারও এমন একটা ভবিতব্যের কথা ভেবে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে শামীম।

নারীতান্ত্রিক সমাজে কি এমনটাই ঘটবে?

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত