ইদসংখ্যার গল্পটা লিখতে শুরু করেছি মাত্র, অমনি ব-র-র-র-র-র। সরাসরি নাকে লাগে গন্ধটা। বাচ্চার বয়স দশ মাস। এসময় এগুলো খুব স্বাভাবিক। কোনোদিন হয়, কোনোদিন হয় না। আমি ডাকলাম, কই গেলা?
কোনো জবাব নেই।
গল্প লিখি ছেলেবেলা থেকে। তবে কোথাও পাঠাতাম না। ইদানীং কিছু লেখা বের হয়েছে। ওয়েবজিনে। কয়েকটি পত্রিকার সম্পাদকের সাথেও হয়েছে আলাপ-পরিচয়। সাহিত্য সম্পাদক।
মাঝে মধ্যে দু’একটা লেখাও চেয়ে নেন তারা।
নিজেকে বেশ কেওকেটা মনে হয় তখন।
আমি আবার ডাকি, কই গেলা, আবুইদ্দা হাগছে। দেখো চাই অবস্থাডা! বিরক্তি লাগে আমার।
কীতা হইছে, পাগল হইছো ক্যারে! ভেজা কাঁথা হাতে দরজায় এসে দাঁড়ায় আমার স্ত্রী।
আবার হাগছে। সব বরাইছে। তাত্তাড়ি নেও দেহি।
আবুইদ্দা দুইদিন ধইরা হাগে না। আজকা হাগছে আর তাইন গ্যাছে গা পাগল হইয়া। মারমুখী ভঙ্গি তার।
আরে না, একটা গল্ফ লেখাত বইছিলামনু। কুছতা বুঝো না। ইতস্তত করেই বলি।
ও…, গোল মুখ করে লম্বা টানে সে বলতে থাকে- আফনে তো আবার কবি অইছইন। দিনরাইত কবিতা লেখইন বইয়া বইয়া। কাজ কাম তো আর নাই!
আরে চিল্লাচিল্লি করতাছো ক্যারে? পাগল অইছোনি? ঢোঁক গিলি আমি।
পোলার গু মুতের ত্যানা ধইতে ধইতে আমি শ্যাষ। এমেদা পোলায় চিল্লাইতাছে, আর তাইন আছে কবিতা লইয়া, হেডার কবিতা! এহ!
হুনো, মাইনষের মাইঝে আমার কিছু দাম আছে। কিচ্ছু বুঝো? মাইনষে হুনলে কীতা কইব! চিল্লাচিল্লি কম করো।
আফনে আমারে বুঝাইন লাগতো না। আমি সব বুঝি। আফনে রবিন্ডনাথ, নরজুল ইসলাম অইছইন। নেইন, আফনে অহন বইয়া বইয়া উফুন্যাস লেখইন লাইলীরে লইয়া। বাচ্চাকে টেনে নিতে নিতে বাড়ি মাথায় তুলে আমার স্ত্রী।
লাইলী আমার বিগত প্রেমিকার নাম। কোনো এক দুর্বল মুহূর্তে বলেছিলাম ওর কথা।
একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি আমি। মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলি সবকিছু। সম্পাদকের তাগাদা ওদিকে।
গল্প লেখায় মন দেই আবার-
‘বউ আমার বেশ রোমান্টিক। অফিসে যাওয়ার সময় বউ গুনে গুনে চারটা চুমু খায় আমার গালে…’
গল্প লেখা চলতে থাকে।