হিরোর গন্ধ সমাচারে আবুবর-১


তেমাথা রাস্তার মোড়ে নকল এক হিরোর অভিনয় দেখার জন্য ভিড় করছে লোকেরা। রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। লোকজন গালিগালাজ করছে কেউ কেউ আর কেউ তো উপচে পড়া ভিড় ঠেলে শেষ দৃশ্যটা দেখার চেষ্টা করছে। বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে জায়গাটা। তারই ভেতর কোনো রকম গলা বাড়িয়ে আবুবর সাহেবের ছোট শালি, নাম তনু, খুশিতে ডগমগ করে লাফিয়ে উঠে বড় বড় চোখ করে বলছে, ‘হুবহু!’
– এই দেখ, হুবহু! বান্ধবীদের খোঁচা দিয়ে হাসিঠাট্টায় মেতে উঠছে বারবার, হায় আল্লাহ, হুবহু নকল।
– শালা করছেটা কী!
– আস্তে!
ফারজানা আর লিপি সাবধান করছে এভাবে কথা না বলতে। কিন্তু সোনাই আর তনু মানছেই না কোনো কথা। তাদের এত দিনের নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন হাতের নাগালে এসে উপস্থাপন হচ্ছে এখন। তারা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ছে। কত দিন অভিনয় করার শখ। সেই শখে বর্ষাকালের বান ডেকেছে। সিনেমার পর্দায় নিজেকে আবিষ্কার করে তারা যেন ফুটছে এখন। মনের হাউস মিটিয়ে দেখার জন্য গলা বাড়িয়ে নয়ন জুড়ায়। মনে গুনগুন গান আসে তাদের। হালকা নাচন জাগে শরীরে। চেতনায় নাড়া দেয় বিনোদন। আপনা থেকে জেগে ওঠে হৃদয় তড়পানো কাঁপুনি। সেই কাঁপুনি দাঁত খিচে ধরে পিটপিট চোখে দিবাস্বপ্ন দেখতে থাকে তারা খুব কাছাকাছি।

কিন্তু তাদের কাছের স্বপ্নগুলো ভেস্তে দেন এলাকার হায়দার উকিল। তিনি বাড়ি ফেরার সময় রিকশায় আটকা পড়েছেন ভিড়ের ভেতর। নড়তেচড়তে পারছেন না। এমনিতেই ভুঁড়িওয়ালা মোটা নাদুসনুদুস মানুষ, তার ওপরে বেশ গরম। রিকশা ভর্তি খরচেব ব্যাগ এক হাতে ধরে তিনি গালিগালাজ করছেন। আরেক হাতে তাঁর জ্যান্ত বড় কাতল মাছ, লাফাচ্ছে। তিনি মাছের লাফ আর ভিড়ের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তাচ্ছিল্যের সাথে খেঁকিয়ে উঠলেন, শালা মূর্খের দল! রাস্তা ছেড়ে গাঙের পাড়ে ফাল দে। মর ওদিক যা।
কেউ নড়ছে না। আরো বিরক্ত হচ্ছেন হায়দার উকিল।
– তুলে দে, তুলে দে না রিকশাটা গায়ের ওপর! শালাদের হুঁশ আছে? তিনি বকবক করছেন, পাগল শালারা। যাই দেখে তাই নিয়ে মাতে। আর ওই একটা কাউয়া হিরো হইছে, ওটাক নিয়া লাফালাফি! শালা মূর্খের দল জোকার কি হিরো হয়? সেই জোকারের অভিনয় দেখির আসছে। কাম পায় না শালারা।
হায়দার উকিলের কথা শোনার কারো টাইম নাই। তারা সরে না। অগত্যা তিনি থানায় ফোন করেন। কেউ কথা না শুনলেও থানার লোকেরা তাঁর কথা শোনে। তাঁর ফোনের ক্ষমতা আছে। ক্ষমতা কোর্টপাড়ায়। সেই ক্ষমতা এবার তিনি রাস্তায় দেখাতে ফোন দিলেন।
ফোন পেয়ে খুব অল্প সময়ে পুলিশের গাড়ি এসে হাজির হলো। অল্প সময়ের মধ্যে রাস্তা ফাঁকা হয়ে গেল। পুলিশ ঘোষণা দিল, রাস্তা বন্ধ করে আর কোনো অভিনয় করা চলবে না।
এই ঘোষণায় শুধু জমজমাট শোরগোলই ভেঙে গেল না, ভেঙে গেল তনু আর সোনাইর মন। তারা ভীষণ মন খারাপ করে নীরবে বাড়ি ফিরে গেল।

লোকের ভিড় চলে গেল চায়ের দোকানে। টিভিতে আর নেটে ছড়িয়ে পড়া টিকটক ভিডিও দেখে অবাক হচ্ছে লোকেরা, নিশ্চিত হয়ে কেউ কেউ বলছে, একেবারে অরিজিনাল হিরো হইছে। পারফেক্ট হিরো।
– কী রকম অভিনয় করেছে আমাদের শাহ আলম, দেখিছিস? বোঝাই যাচ্ছে না সে নকল হিরো।
– আরে সে নকল হিরো না, সে-ই আসল। আর নকল হইল আসল হিরো।
হা হা করে হাসে তারা। পাশেই ছিল শাহ আলম। এবার সে হিম্মত নিয়ে বলে, আসল না হইলে কী হইছে, অভিনয় ঠিক আছে কি না সেটা কন। বিনোদন দেওয়া নিয়া কথা। আমি আমার স্টাইলে অভিনয় করিছি। সবার একটা নিজস্ব স্টাইল আছে। মিস্টার বিনও তো বিনোদন দেয় তার স্টাইলে। আমার স্টাইল আমার মতো। আমি কিন্তু একদিন আসল হিরো হব। এর পরেই সে মরুভূমি আর আফ্রিকার জঙ্গলে অভিনয় করা হিরোর নকল করা তার গান অভিনয় ভিডিওতে দেখায়।
– হুবহু হইছে না? অভিনয় খারাপ করছি?
– ভালো হইছে। চলবে রে কে কি কয় কউক, তুই চালিয়ে যা।
– হিরো চালিয়ে যায়।
বেশ কিছুদিন তোলপাড় চলল এলাকায়। স্থানীয় ডিস চ্যানেলে দেখা যেতে লাগল টিভিতে অভিনয় করছে হিরো।

সেই হিরো একবার আবুবর সাহেবকে ধরে ফেলে। স্কুল শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন আবুবর সাহেব। পেছন থেকে স্যার স্যার বলে ডাকতে থাকে। ডাক শুনে দাঁড়ালেন আবুবর সাহেব।
– একটু দাঁড়ান স্যার, প্লিজ। এক কাপ চা খাবেন আমার দোকানে, প্লিজ স্যার।
– কে তুমি বাবা? আবুবর সাহেব ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালেন।
– স্যার, আমি হিরো।
– হিরো। কোন হিরো? আবুবর সাহেব চোখ সরু করে তাকালেন, ওই যে নেটে যে…
– না স্যার, আমি ওই হিরো না। আমার বাপে আমার নাম দিছিল শাহ আলম। কিন্তু সবাই আমারে হিরো কয়। তার মতন আমি নাকি দেখতে। এজন্য আমি শাহ আলম নামটা পাল্টাই দিয়া হিরো রাখছি। নিজেরে হিরো বানাইলাম স্যার মন থেকে। এই কারণে নিজেকে হিরো হিরো লাগতেছে এখন।
-ও আচ্ছা। শাহ আলম নামটা তো খারাপ না। সেটা পাল্টে অন্যের নাম নিলে কেন?
-কেন স্যার, অন্যের নাম নেওয়া যাবে না?
-যাবে না কেন? একশবার যাবে। যেমন ধরো সাদ্দাম নামটা। প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের নামে। কিন্তু কথা সেটা না, কথা হচ্ছে তুমি হিরো হতে চাও কেন?
শাহ আলম আনন্দে গদগদ হয়ে দু’হাত দোলাতে দোলাতে বলল, মানুষে তো হিরো হইতে পারে। পারে না স্যার? আমি স্যার ওই রকমই হিরো। দেখতে সুন্দর না। সেই রকমই কালো, বেশি পড়াশুনা করি নাই। কিন্তু আমি স্যার সৎ। এ কারণে আমি ভাবছি হিরো হওয়া যায়। অন্তত হিরো হইতে চাইছি, খারাপ তো কিছু হইতে চাই নাই। এইটা কি আমার অপরাধ হইছে?
-অপরাধ হয় নাই। কিন্তু…
-কোনো কিন্তুটিন্তু না স্যার। একটা মুরগি জবাই দিয়া আকিকা করিছি। এই যে এখানটায়, এই দোকানে রক্ত ফেলাইছি। সবাইকে ফ্রি ফ্রি চা খাওয়াইছি একদিন। আপনি খালি বাকি ছিলেন। আজকে চা না খায়া স্যার আপনি যাইতে পারবেন না।
-না না বাবা, এই অসময়ে আমি চা খাব না।
-কেন স্যার, গরিব মানুষ বইলা ঘিন্না করেন! নাকি হিরো হবার চাইছি বইলা মাইন্ড করছেন? আপনি তো স্যার স্বপ্ন দেখতে বলেন। আমি এই স্বপ্ন দেখিছি। আমার সাথের ছেলেরা নেশা করে, চুরি করে, না হয় মানুষের গোলামি করে। আমি নিজের চেষ্টায় স্বপ্ন নিয়া বাঁচার চেষ্টা করিছি। এই স্বপ্ন আপনার থাইকা পাইছি স্যার। আপনি আমাকে সহযোগিতা না করেন, অন্তত চা তো খাবেন। নেন স্যার, এটা আমার স্পেশাল চা আপনার জন্য। কিন্তু কালো বইলা চা না খায়া যাইতে পারবেন না।
অগত্যা বসে পড়লেন আবুবর সাহেব। বেশ খুশি মনেই আজ স্কুল থেকে ফিরছিলেন তিনি। শাহ আলমের কথায় আটকে গেলেন।
– কিন্তু আমি তো তোমাকে হিরো আলম বলতে পারব না বাবা।
– অসুবিধা নাই স্যার, আপনি হইলেন আমার স্পেশাল স্যার। আপনি শাহ আলম বইলাই ডাকবেন। আপনি ভালো মানুষ। মানুষ অবশ্য আপনার নামে ম্যালা কথা কয়, আপনাকে তারা চেনে না। কইলে কউক, আপনি আগাইতে থাকেন। এইটা ভালো লাগে আমার। কিন্তু কি জানেন, আপনার কাছে আইলে আমি এক ধরনের ফুলের সুবাস পাই, আমার স্বপ্ন চাঙ্গা হয় আপনাক দেখি। এই কারণে মনে হইছে আপনাকে আমার স্পেশাল চা খাওয়াব এক কাপ।
-কিন্তু বাবা, তুমি পড়াশোনাটা বাদ দিলে কেন? কোন ক্লাস থেকে পড়া বাদ দিয়েছিলে বলো তো?
-স্যার ক্লাস এইট থেকে।
-কেন বাদ দিলে পড়া?
-না, তেমন কিছু না স্যার। আমি বুঝছিলাম, ওগুলা আমার দ্বারা হবার নয়। মাথা ভর্তি খালি বইয়ের লেখা মুখস্থ করা আর লেখা। আপনি তো স্যার সবই জানেন, আমার বাবা নাই, মায়ের দুইটা বিয়া। কী খাব না খাব সেই ব্যবস্থা নাই। সেই অবস্থা থাকি নিজের চেষ্টায় হিরো হইবার চাইছি। চেষ্টা করিছি। হবে না কেন, হবে স্যার। সে বিশ্বাস আমার আছে। মানুষ পারে না এমন কোনো কাজ নাই। সবাই কি আর পড়ালেখা শিখে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হবার পারে? পারে না। কিন্তু আমি স্যার যেইটা হবার পারি, সেটাই হবার চাইছি।
-তবু বাবা, সার্টিফিকেটের একটা দাম আছে। তাছাড়া এখন তো আর বেশি মুখস্থ লাগে না। টেকনিকটা শিখলে মুখস্থ কোনো ব্যাপার না। তুমি কালকে আমার সাথে স্কুলে যাবে।
-না স্যার, এইটা আমারে কইয়েন না। সত্যি কথা কি স্যার,
প্রায় ফিসফিস করে বলে শাহ আলম, স্কুলে গেলে কেন জানি বমি বমি লাগে আমার।
-বমি লাগে মানে?
-একটা বিশ্রী গন্ধ লাগে স্যার। সহ্য করতে পারি না।
-বিশ্রী গন্ধ? কোথা থেকে পাও? তুমি কি পেশাবখানার গন্ধের কথা বলছ?
-না স্যার। গন্ধটা স্যারদের গা থেকে পাই। কিন্তু আপনার গা থেকে সেটা পাই না। বরং সুবাস পাই।
-ধুর, তুমি যেটার কথা বলছ, এটা সেন্টের গন্ধ। সুবাস। দামি সেন্ট মাখেন হেডস্যার।
-কিন্তু স্যার, আমি তো সুগন্ধ পাই না। একবার হেডস্যারের রুমে গেছি, সে যে কী সুর্গন্ধ! বাথরুমে গিয়া বমি কইরা দিছি। সেই থাকি স্কুলে যাই না স্যার আমি। আমি হিরো আলম হবার চাইছি, এটাই আমার জন্য ভালো।

আবুবর সাহেব বেশ কিছুক্ষণ ছেলেটির দিকে তাকিয়ে থাকলেন।
-আমি কি ভুল কিছ্ ুকইছি স্যার? কইলে মাফ কইরা দিয়েন।
আবুবর সাহেব মৃদু হাসলেন। একটা চিন্তা তাঁর মাথার ভেতরে উঁকি দেওয়া শুরু করল। সুর্গন্ধ! কেন সে সুর্গন্ধ পায়? কেনই বা সে হিরো আলম হতে চাইছে? জীবনের কী বোঝে সে? হয়তো ঠিকই বোঝে। হয়তো জীবন তিনিই বোঝেন না। আসল কথা হচ্ছে জীবনকে সার্থক করা। জীবন কি শিক্ষায় সার্থক হয়? তাছাড়া কেন তিনি শাহ আলমকে তাঁর মতো বানাতে চাইছেন। শাহ আলম তার স্বপ্ন আশা আকাক্সক্ষা নিয়ে বড় হতে চায়। হোক না। এই যে কতজনকে আলোর পথ দেখিয়েছেন, কই সেই আলো? এই আলো যেন স্কুল পর্যন্তই নিভু নিভু মোমের আলোর মতো টিমটিম জ্বলে নিভে গেছে। কলেজের গণ্ডি পেরিয়েই হারিয়ে গেছে সব। কেন এমন হচ্ছে? সম্ভবত স্বপ্নহীনতা। শিক্ষার্থীদের ভেতর চকচক করে ওঠা স্বপ্ন আর জ্বালানো যাচ্ছে না। যে স্বপ্ন দিয়ে তারা সব কিছু বদলে দিতে পারে, সেটা নেই। হয়তো এ কারণেই তারা বদলে যাচ্ছে দ্রুতই। অথচ এই শাহ আলম স্বপ্ন দেখছে হিরো হবে।
– স্যার, খারাপ কিছু কইলাম? আরেক কাপ চা দিব স্যার।
আবুবর সাহেব চিন্তা থেকে বের হতে পারছেন না। মাথা ঘুরছে তাঁর। ভাবনা আসছে। অন্তত দুর্নীতি করা অসৎ শিক্ষিত লোকের থেকে স্বপ্ন লালন করা এমন হিরোই উত্তম। হয়তো এটাও সত্য হতে পারে যে শিক্ষক কখনো আলোর পথ দেখাতে পারে না। পারলে ঘুষ খেত না বিসিএস দেওয়া সরকারি ক্যাডার। তারাই তো কোনো না কোনো স্কুলের ছাত্র। অসৎ মানুষের খাতায় তাদের কারো কারো নাম উঠছে না? ঘুষ ছাড়া স্কুলের সাধারণ একটা কাগজও তো এক টেবিল থেকে আরেক টেবিলে যায় না। যায় না এ কারণে যে তাদের ভেতর আলো জ্বালানোর স্বপ্ন নেই। সেই স্বপ্ন স্কুলগুলোতে বুনন হচ্ছে না এখন। না স্কুলে, না পরিবারে। কিন্তু স্কুলেই স্বপ্নগুলো তৈরি হতে হবে কেন?
– স্যার!
শাহ আলমের ডাকে হঠাৎ চিন্তা থেকে চমকে উঠলেন আবুবর সাহেব।
– খারাপ কিছু কইছি স্যার? ডাকছি শুনছেন না। মন খারাপ করছেন আমার ওপর? সরি স্যার, আরেক কাপ চা খান।
সে কেক আর চা আবার এগিয়ে দিল।
আবুবর সাহেবের মাথায় কিছু আসছে না। তাঁর মাথায় ঘুরছে শুধু গন্ধ।
– আচ্ছা শাহ আলম, স্বপ্নটা সার্থক করতে পারবে তুমি?
– জি স্যার। একশবার পারব।
– তাহলে তা-ই করো।
তিনি উঠে দাঁড়ালেন। ছেলেটি চেঁচিয়ে উঠল।
– আমি ‘হিরো’।
– আচ্ছা, তুমি তাহলে ‘হিরো-ই হও। কিন্তু বলো তো, এই গ্রামের যুবক যুবতিরা হিরো হিরোইন হতে চাইছে কেনো?
কিছুদিন আগে সোনাইও নায়িকা হতে চেয়েছিল। নায়িকা হতে চেয়েছিল ছোট শালি তনু। কথাটা গোপন রেখেছিলেন আবুবর সাহেব। এখনো কাউকে বলেন নি। কিন্তু কথাটা মাথায় ঘুরছে তাঁর। হিরো বলল,
– হিরো হলে বুক ভরে দম নেয়া যায়। সবাই ভালো বলে। সম্মান পাওয়া যায়। তাছাড়া, আমার তখন গন্ধ লাগে না।
– ঠিক আছে। তোমাকে হিরো বলেই ডাকব আজ থেকে।
ছেলেটি খুব খুশি হয়ে মাথা নুইয়ে স্যারকে সম্মান জানাল।
আবুবর সাহেব নীরব মনে বাড়ি ফিরতে লাগলেন। তাঁর মাথায় ঘুরছে এখন গন্ধ। বুঝতে পারছেন না, কিসের গন্ধ লেগেছে যুবকদের নাকে।
(..)

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত