উন্নয়ন

[১]
‘ও বাবা! দ্যাখো না চশমাটা ভেঙে গেল।’ সাদিয়ার গোমড়া মুখে হতাশার ছাপ।
‘কেন? কীভাবে ভাঙল মামনি?’ উদগ্রীব হয়ে জানতে চাইলেন সাদেকুজ্জামান।
‘এইযে টেবিল থেকে পড়ে গেল!’
‘আচ্ছা কাল আরেকটা অর্ডার দিয়ে আসব, যাস আমার সাথে।’
‘সকালে তো যেতে পারব না বাবা। সকালে স্কুলে যাওয়া লাগবে। প্রতিযোগীতা আছে না!’
‘ওহ হো। হ্যাঁ, ঠিক তো। খেয়াল ছিল না আমার। আচ্ছা, তাহলে সন্ধ্যায় ফেরার পথে?’
‘হ্যাঁ, তা করা যায়। আমারও ইভেন্ট শেষ হতে হতে বিকেল হয়ে যাবে। আমি নাহয় তোমার অফিস পর্যন্তই যাব?’
‘আচ্ছা যাস। হ্যাঁ, কই গো, ছাতাটা দিও।’
‘এইতো এই নাও।’ সাদিয়ার মা ছাতা নিয়ে আসে। গত দু’দিন ধরে বৃষ্টি। ছাতা ছাড়া বাইরে বেরুনোর জো নেই। কাল রাতে সেই যে মধ্যরাত থেকে বৃষ্টি জুড়লো, আর থামাথামির নামগন্ধ নেই। সুবহে সাদিকের পর ফজরের আজান দিলে একটু কমলো। বৃষ্টি কি জ্বীন-ভুত না-কি যে আজান শুনে পালিয়ে যাবে? না-কি সেপ্টেম্বর বৃষ্টির রোজার মাস যে সারারাত উদোম বর্ষণলীলা সাঙ্গ করে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত অবিরাম বারিবর্ষণ থেকে বিরত থাকবে?
কাল ২৮ সেপ্টেম্বর। প্রধানমন্ত্রীর ৭৫ তম জন্মদিন। সেই উপলক্ষ্যে স্কুলে আয়োজন করা হয়েছে দিনব্যাপী কর্মসূচি। সকালে রচনা লেখা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা, বিকেলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাদিয়া রচনা লেখা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে মনস্থির করেছে। রচনার টপিক : গণতন্ত্রের মানসকণ্যা, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও উন্নয়নশীল বাংলাদেশের রূপকার মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতার সুযোগ্য কণ্যার জীবনী, রাজনৈতিক উত্থান, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শী রাজনৈতিক পলিসি, নজিরবিহীন দীর্ঘমেয়াদী ক্ষমতা, ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’-খ্যাত প্রেরণাদায়ী, ধৈর্যশীল, সাহসী, প্রজ্ঞাবান, নির্ভীক, সংযমী, পরিশ্রমী, দুর্নীতিমুক্ত, সৎ, সাহসী, মাননীয়, মানবিক, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতার প্রেরণায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিরলস কাজ করে যাওয়াকে কাগজে-কলমে, শব্দ-বন্ধে ফুটিয়ে তুলতে হবে। তার জন্য প্রস্তুতিরও কমতি নেই সাদিয়ার। বাবাকে বলে অন্তত ডজন দেড়েক বই আনিয়ে রেখেছে সে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্বাধীনতা-পরবর্তী স্বৈরশাসন, গণতন্ত্রের পুনরুত্থান, অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, একাত্তরের ডায়েরী; কী বাদ যায়নি? এমনকি বাদ যায়নি মাননীয় প্রধাণমন্ত্রীর নিজের লেখা বইপত্রও। দিন-রাত এক করে পড়াশুনা করেছে সাদিয়া। ফার্স্ট তাকে হতেই হবে।
ছোটবেলা থেকেই মেয়েটা ভীষণ দেশপ্রেমী। ২১-শে ফেব্রুয়ারি, ২৬-শে মার্চ, ১৬-ই ডিসেম্বর কিংবা ১৪-ই এপ্রিল, ১৫-ই আগস্ট.. এমন কোনো জাতীয় দিবস নেই যেখান সাদিয়া স্কুলের প্রোগ্রামে অংশ নেয় না। স্বাধীনতার চেতনা যেন তার রন্ধ্রে রন্ধ্রে। এমনিতেও সহশিক্ষা কার্যক্রমে তার বেশ ঝোঁক। স্কুলের ডিবেট টিমের দলনেতা হয়ে জাতীয় পর্যায়ের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় রানার্স আপও হয়ে এসেছে দু’বছর আগেই। তখন সে ক্লাস এইটে পড়ত।
নভেম্বরে এস.এস.সি পরীক্ষা সাদিয়ার। করোনা প্যান্ডেমিকে দীর্ঘ দেড় বছর স্কুল বন্ধ থাকায় এবার সিলেবাস কমিয়ে মাত্র তিন সাব্জেক্টের পরীক্ষা হবে ওদের। পরীক্ষা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা নেই তার। সিলেবাস বহু আগেই শেষ। বড় হয়ে প্রকৌশলী হতে হবে, দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে; ‘ভিশন-২০৪১’ বাস্তবায়নে আজকের কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীরাই তো আগামীর ঝাণ্ডাবাহক।
[২]
স্কুলের যাবতীয় অনুষ্ঠানাদি সাধারণত মাঠে হয়। তবে এবার বৃষ্টির জন্য হল রুমের মধ্যেই চেপেচুপে সবকিছুর বন্দোবস্তো করতে হয়েছে। মাননীয় মেয়র এসেছেন প্রধান অতিথি হয়ে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং বিশেষ অতিথির চল্লিশ মিনিটব্যাপী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পর মাননীয় মেয়র দু থেকে তিন মিনিট বক্তব্য প্রদান করলেন। তিনি ব্যস্ত মানুষ। আজ তিন-চারটে প্রোগ্রাম আছে তার। বক্তব্য দেওয়ার সবিশেষ আগ্রহবোধ করলেন না। রচনা লেখা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার পুরস্কারগুলো মেয়রের হাত দিয়েই দেওয়া হবে।
পুরস্কার ঘোষণার সময় চলে এসেছে। সাদিয়ার বুক ধুকপুক করছে। সে কি পারবে? অনেক তো কষ্ট করল! কিছু একটা কি হবে? এদিকে তার দেখতেও খুব অসুবিধা হচ্ছে। ঘরে পড়ে থাকা পুরোনো চশমাটা দিয়ে কোনোমতে কাজ চালাতে হচ্ছে। ও মাইনাস পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করে। দূরের জিনিস ঝাপসা দেখে, এজন্য। এই চশমাটার পাওয়ার একটু কম, কাঁচটায়ও কিছুটা স্ক্র‍্যাচ পড়ে গেছে। তবে একেবারে না থাকার চেয়ে কিছু একটা যে আছে- এ নিয়েই সন্তুষ্ট হয় সাদিয়া।
আবৃত্তির জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে প্রথমেই। এবার রচনা প্রতিযোগিতার জন্য পুরস্কার ঘোষণার পালা। দম বন্ধ হয়ে আসছে সাদিয়ার। হৃৎস্পন্দন বেড়ে গেছে অস্বাভাবিক হারে। ৩য়..২য়..
১ম স্থান অধিকার করেছে সাদিয়া তাবাসসুম, দশম শ্রেণি, রোল-৯!
সোৎসাহে লাফিয়ে ওঠে সাদিয়া। সে প্রথম হয়েছে! ছুটে গিয়ে মেয়রের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে তার সাথে হ্যান্ডশেক করে। তার এতদিনের কষ্ট-ক্লেশ সফল। পরিশ্রম করেছে কিন্তু সফল হয়নি, কাঙ্ক্ষিত জিনিসটি অর্জন করতে পারেনি—এমন নজির সাদিয়ার জীবনে নেই।
পুরস্কারবিতরণ শেষ হলে শুরু হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আলোকচিত্রপ্রদর্শনী। প্রধাণমন্ত্রীর শৈশব-কৈশোরের ছবি, রাজনীতিতে পদার্পণ ও রাজনৈতিক উত্থানের ডকুমেন্টেশন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে তার নেওয়া পদক্ষেপ ও সফলতাসমূহের আলোকচিত্রের বর্ণিল উপস্থাপনায় সজ্জিত হয় স্কুলের ওরিয়েন্টেশন রুম। সাদিয়া তার বান্ধবীদেরকে সাথে নিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখে রুমটির এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত। সে মুগ্ধনয়নে চেয়ে থাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চোখের দিকে। কী এক স্বপ্নীল দৃষ্টি তার! এই চোখে দেখা স্বপ্নগুলোই আজ চোখের সামনে পরিদৃশ্যমান। একজন মহান নেত্রীকে স্বচক্ষে দেখে যেতে পারছি, যিনি স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে জানেন—ভেবেই যেন সাদিয়া হারিয়ে যায় নস্টালজিয়ার অতল গহীনে।
মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা সমূদ্রবন্দর—সব যেন এক অবিশ্বাস্য স্বপ্নের অভূতপূর্ব বাস্তবায়ন। তবুও সবকিছু ছাপিয়ে সাদিয়ার নজর কাড়ে একটা ছবি। সাদিয়া ঘুরেফিরে সেই ছবিটির সামনে এসে দাঁড়ায়, অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে ৪ ফুট বাই ৩ ফুট সাইজের ফ্রেমে বাঁধানো ছবিটির দিকে; পদ্মাসেতু। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিবিধ ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে, অর্থনৈতিক সক্ষমতার সহস্র চ্যালেঞ্জ আর বাঁধার বেড়িবাঁধ টপকে নিজের দেশের মানুষের টাকায়ই প্রমত্তা পদ্মার বুকে নির্মিত হচ্ছে সেতুটি। সর্বশেষ স্প্যান বসানোর কাজটিও সমাপ্ত হলো কিছুদিন আগেই। অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকটি মাসের। তারপরই চাকা ও পায়ের সম্মিলিত শাসনে স্পন্দিত হবে বাঙালির অহংকার ও গৌরবের স্মারক—পদ্মাসেতু।
সন্ধ্যায় শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এখানেও অবশ্য সাদিয়ার থাকার কথা ছিল, তবে তা আর হচ্ছে না। বাবার অফিসে যেতে হবে। সেখান থেকে চশমার দোকানে। স্কুল থেকে বেরিয়ে রিক্সা ধরে রওনা দেয় সাদিয়া। গন্তব্য- বাবার অফিস।
[৩]
সাদেকুজ্জামান সাহেব আজ তিন ঘণ্টা আগেই বেরিয়ে পড়বেন। সাদিয়া এসে বসে রয়েছে আধাঘণ্টা ধরে। ওকে নিয়ে যেতে হবে চশমার দোকানে।
অফিস থেকে বেরিয়ে সিএনজি ধরে মার্কেটের উদ্দেশে রওনা দেয় বাবা-মেয়ে দুজন। ফিসফিস করে বৃষ্টি হচ্ছে, সাথে ঠাণ্ডা বাতাস। দুপুরে যখন বৃষ্টি হয়েছিল তখনকার জমা পানি এখনও নামেনি রাস্তা থেকে। এখনও প্রায় গোড়ালি ডুবে যাওয়ার উপক্রম। সিএনজি-চাকার ঘূর্ণনে কিছু পানি ছিটে ভেতর পর্যন্ত চলে আসছে। সিএনজি যে তলিয়ে যাচ্ছে না, এই-ই বা কম কীসে! দুপুরে যে অবস্থা ছিল তাতে রিক্সা কিংবা সিএনজি কোনওটাতেই ওঠার জো ছিল না। এমতাবস্থায় কেবল নৌকার উপরই ভরসা রাখা চলে!
বর্ষার সময় যখন রাস্তা এবং ফ্লাইওভারে একসঙ্গে পানি জমে থাকে, দূর থেকে ড্রোন ক্যামেরায় দেখলে সেটাকে অনেকটা দোতলা নদী বলে মনে হয়। ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের এই বঙ্গীয় ব-দ্বীপ ব্যতীত পৃথিবীর অন্য কোথাও এহেন আশ্চর্যজনক ও শৈল্পিক নিদর্শনের নজির মেলা ভার। এটি নিঃসন্দেহে ‘সেভেন ওয়ার্ল্ড ওন্ডার’-এর পর অষ্টমাশ্চর্য হওয়ার দাবী রাখে।
সাদিয়ারা চশমার দোকানে পৌঁছে। চশমা অর্ডার দেয় এবং বসে থেকেই বানিয়ে নেয়। চল্লিশ কি পয়তাল্লিশ মিনিট সময় লাগে। চশমা প্রস্তুত হলে তারা দোকান ছেড়ে বের হয়। বাসা খুব বেশি দূরে না হওয়ায় তারা হেঁটেই যাওয়ার পরিকল্পনা করে। মেইন রোড দিয়ে গেলে দূরত্ব একটু বেশি, সময়ও বেশি লাগবে। লোক্যাল এরিয়ার ভেতরের রাস্তা দিয়ে গেলে আরেকটু সহজ হবে। ওরা সেটাই করে।
সন্ধ্যার অন্ধকার, ছিপছিপে কাঁদা আর জায়গায় জায়গায় জমে থাকা পানির মধ্য দিয়ে পথ চলতে বেশ অসুবিধা হচ্ছে। কোথায় কতখানি গর্ত, কোথায় রাস্তা, কোথায় ড্রেন—ঠাহর করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। রাস্তার পাশে যে ফুটপাত আছে, সেখান থেকে এখনও পানি নামেনি। ড্রেনের কুৎসিত নোংরা পানিতে সয়লাব গোটা রাস্তা। তবুও ফুটপাতের উপর দিয়ে চলাই তুলনামূলক ভালো, কেননা ফুটপাত উঁচু হওয়ায় ওখানে পানি কিছুটা কম। সাদিয়ারা ফুটপাত দিয়েই চলে। সাদেকুজ্জামান সাহেব সামনে, আর সাদিয়া তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে পেছন পেছন চলে।
পথ চলতে চলতে হঠাৎ ‘বাবা’ বলে চিৎকার করে ওঠে সাদিয়া। সাদেকুজ্জামান পেছন ফিরে দেখেন সাদিয়া ম্যানহোলের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। তিনি ছুটে এসে সাদিয়ার হাত ধরতে না ধরতেই সে তলিয়ে যায় গভীর ড্রেনে। তার চিৎকারে লোক জড়ো হয়। ৯৯৯-এ ফোন করে ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। সাদেকুজ্জামান ফুটপাতের স্ল্যাবের উপর হাতে ভর দিয়ে ড্রেনের মধ্যে নামেন, তবে সাদিয়ার নাগাল পান না। ড্রেনের মধ্যে পানির স্রোত একটু বেশি থাকে। হয়ত সেই স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে গেছে সাদিয়াকে।
ফায়ার সার্ভিস আসে। শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টার উদ্ধারকার্য শেষে রাত আড়াইটায় মেলে সাদিয়ার মরদেহ। খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়ে তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজনেরা। সাদেকুজ্জামান আর সাদিয়ার মায়ের বুক-চাপড়ানো আহাজারিতে নিমিষেই ভার হয়ে ওঠে পরিবেশ।
ঘটনা আলোড়ন ফেলে, মুহূর্তেই জড়ো হয়ে যায় অসংখ্য গণমাধ্যমকর্মী। স্থানীয়রা জানায় গত ৬ মাস ধরে রাস্তায় কাজ চলছে। যেখানে-সেখানে গর্ত, ফুটপাতের স্ল্যাব ভাঙা, এক্সক্যাভেটর আর ক্রেন দিয়ে রাস্তার অর্ধেক জায়গা দখল করে রাখা, লোকজনের চলাচলের সুবিধার জন্য কোনো বৈদ্যুতিক বাতি না রাখা—এসবকিছুর জন্য নিয়মিতই ভোগান্তি পোহাতে হয় স্থানীয়দেরকে। অনিয়মের জন্য আঙুল তোলা হয় সিটি কর্পোরেশন মেয়রের দিকে। তবে মেয়র অবশ্য বলেন—সড়ক ও জনপথের কাজের ব্যাপারটা এখন আর সিটি কর্পোরেশনের আওতায় নেই, এর সম্পূর্ণটা এখন ‘নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’-ই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
সাদিয়ার বাবা কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে গণমাধ্যমকে জানান—স্কুলে একটা অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানশেষে আমরা চশমার দোকানে যাই ওর চশমা কেনার জন্য। সেখান থেকে ফেরার পথেই না-ফেরার দেশে চলে গেল মেয়েটা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কেউই এই দুর্ঘটনার দায় নিতে চাচ্ছে না। উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আর সিটি কর্পোরেশন একে অন্যের উপর দোষ চাপাচ্ছে। মাঝখান দিয়ে আমার মেয়েটাকেই শুধু হারাতে হলো, সে তো আর ফিরে আসবে না। এত উন্নয়ন দিয়ে কী হবে যদি সেই উন্নয়ন করার জন্য মানুষের জীবনের নিরাপত্তাই না থাকে?
| উন্নয়ন
| রুহুল কবির
| ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১
| সত্য ঘটনা অবলম্বনে- Independent news

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত