সবুজ চোখের দানো

কলেজ পড়ুয়া তরুণ লেখক বুদ্ধদেব বসুর ‘আমরা তিনজন’ গল্পের নায়িকা মোনালিসা ওরফে অন্তরা ওরফে তরুর পরিণতিতে বিমর্ষ হয়ে পড়ল। সেই যে বিখ্যাত গল্প, যার শুরুটা এরকম — “ আমরা তিনজন একসঙ্গে তার প্রেমে পড়েছিলাম : আমি, অসিত আর হিতাংশু; ঢাকায় পুরানা পল্টনে, উনিশ-শো সাতাশে । সেই ঢাকা, সেই পুরানা পল্টন, সেই মেঘে-ঢাকা সকাল!”
এর প্রায় চল্লিশ বছর পর বুদ্ধদেব বসু আবার লিখলেন,
” মাসখানেক আগে ঢাকা থেকে একটি চিঠি পেলাম, সাথে একটি সাময়িক-পত্রে ছাপা-হওয়া রচনা, রচনাটির নাম ‘আমরা তিনজন ‘। পত্র খানা ও গল্পটির লেখক একই ব্যক্তি, যুবক, কলেজের ছাত্র – যেমন আমি ছিলাম ঢাকায়, পুরানা পল্টনে প্রায় চল্লিশ বছর আগে । চিঠিতে লেখা আছে: ‘কোনো কোনো লেখা কোন পাঠকের মনে এতদূর পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করে যে স্বয়ং লেখক তা ধারণা বা উপলব্ধি করতে পারেন না । … আপনার ‘ আমরা তিনজন ‘ পড়ে অন্তত আমার তা-ই ধারণা হয়েছে। গল্পটি পড়ে আমি গল্প লেখার অনুপ্রেরণা পেয়েছি । এবং তা আমার তরুণ জীবনের এক বিরাট অংশ জুড়ে রয়েছে । ‘ পত্রলেখক তাঁর স্বরচিত যে-গল্পটি পাঠিয়েছেন তাতে লেখা আছে : “ বুদ্ধদেব বসুর ‘আমরা তিনজন ‘ পড়ে… হিতাংশুদের বাড়ি পুরানা পল্টনের তারাকুটির অনেক খুঁজেছি ; কিন্তু পাইনি । শেলির চোখে [ শেলি এক নায়িকার নাম ] বুদ্ধদেব বসুর ‘মোনালিসা’র ছায়া খুঁজেছি – কিন্তু পাইনি । সেই পুরানা পল্টন , সেই মোনালিসা , সেই অসিত , হিতাংশু , বিকাশ — কিছুই পাইনি আমরা । “ ( ভাব বিনিময়, বেতার জগত)।

লেখকের নাম সিরাজ, সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা শহরের উদীয়মান গল্পকার। বুদ্ধদেব বসুর ‘আমরা তিনজন’ পড়ে ওলট-পালট হওয়া এক কলেজ ছাত্র। বুদ্ধদেব বসু, সিরাজকে পাঠালেন তাঁর সদ্য প্রকাশিত ত্রিশটি নির্বাচিত গল্পের সংকলন ‘ ভাসো, আমার ভেলা’। এমন দেখনহাসি প্রচ্ছদ যে সে প্রচ্ছদের ছবি দেখেই সপ্তডিঙ্গা নিয়ে সাত সাগর পার হবার পাথেয় পাওয়া গেল বলে মনে হল সিরাজের। বইটা সে বারবার উলটে পালটে দেখে, ঘ্রাণ নেয়; পড়ার মতো স্থিরতা পাচ্ছে না। নিজের লেখা নিয়ে সে নানা পত্রিকা অফিসে যায় – সাথে ঐ বুদ্ধদেব বসুর ‘ভাব বিনিময়’ নামের প্রবন্ধ। কথাটা ঢাকা শহরের ছোট সাহিত্যিক মহলে চাউর হয়ে যেতে সময় লাগল না।

সিরাজ সেদিন দৈনিক বাংলায় আহসান হাবীবের কাছে নতুন গল্প জমা দিবেন। কবি ব্যস্ত দেখে ভুঁইয়া ইকবালের টেবিলে বসে আছেন। ভুঁইয়া ইকবালের কাছ থেকেই তিনি বুদ্ধদেব বসুর ঠিকানা জোগাড় করেছিলেন। ইকবাল তখন তাঁর ‘পূর্বলেখ’ পত্রিকার দুই বাংলার একটা সংকলনের জন্য পশ্চিম বাংলার কবিদের ঠিকানা জোগাড় করছিলেন। ইকবালের কাছে আবুল হাসান আর নির্মলেন্দু গুণ এলেন হই হই করতে করতে। সিরাজ কবিতার লোক নন, মুখচোরা মানুষ। সরে গেলেন।

পরদিন বিকেলে আউটার স্টেডিয়ামে হাসানকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখতে পেলেন। হাসানই এগিয়ে এলেন।
– আপনার নাম সিরাজ , তাই না?
– আমাকে আপনি চিনেন?
– হ্যাঁ, চিনিতো, দেখা হয়েছে আগে।
হঠাৎ করেই খুব পরিচিতের মতো জিজ্ঞেস করলেন, আপনার কাছে একটা টাকা হবে? আমার কাছে এক টাকা আছে, আর এক টাকা হলে দুজনে মিলে আইসক্রিম পারলারে বসা যেত।
সিরাজের কৌতূহল হল। বলল, পকেটে বাসায় যাবার রিকশা ভাড়া আছে। ঠিক আছে, চলুন আপনার সাথে বসি।
– বাসা কোথায় আপনার?
– জ্বি, দক্ষিণ মৈশুন্ডি।
– আরে,কাছেই তো! হাঁইটা যাইবেন!

দুজনে মিলে গুলিস্তানের একটা আইসক্রিম পারলারে বসে অনেক সাহিত্য আলোচনা হল। এক সময় আবুল হাসান বুদ্ধদেব বসুর লেখা চিঠি আর উপহার হিসেবে পাঠানো বইটা নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করলেন। সিরাজ মহা উৎসাহে মূল ‘আমরা তিনজন’ পড়ে তার প্রতিক্রিয়া, একই নামে গল্প লিখে সিনেমা পত্রিকা চিত্রাকাশে ছাপানো, কবিকে সেই পত্রিকাসহ চিঠি পাঠানো – সবই শোনালেন।
– আপনি কি সেই তারাকুটির খুঁজে পেয়েছিলেন?
– পুরানা পল্টনে আমাদের স্কুল সহপাঠী খোকনদের বাড়ি । মাঝে মাঝে ওদের বাড়ি যেতাম । ওদের বাড়িটি ছিল দুই বিঘা জুড়ে গাছগাছালি ঘেরা একতলা বাড়ি । প্রখর রোদেও ওদের বাড়ি ছিল সুনিবিড় তরুছায়া স্নিগ্ধ শীতল মায়াময় শান্তির নীড় । ওদের বাড়ির লোকেশন দেখে সেটাকেই তারা কুটির ভেবেছিলাম। আসলে বুদ্ধদেব বসু ঐ লোকেশন ব্যবহার করলেও মোনালিসাদের বাড়ি সেটা ছিল না। আসলে পটভূমি ছিল পরম ভবন, বসুর বন্ধু পরিমলদের বাড়ি। তাই আমরা বিভ্রান্ত হয়েছিলাম।
– তারপর?
– গল্পে মোনালিসার মৃত্যু আমি মেনে নিতে পারিনি। খুব কষ্ট হয়েছিল। দিনরাত আমি মোনালিসাকে ভাবি । মোনালিসাকে কী ভাবে বাঁচিয়ে রাখবো ভেবে পাই না । রাতে ঘুমাতে পারি না । মোনালিসা আমাকে জাগিয়ে রাখে। ঘুমিয়ে পড়লে ডেকে তুলে , তুমি নির্বিঘ্নে ঘুমাচ্ছো ! আমার কী ব্যবস্থা করলে ? তাই আমার গল্পের কেশবতীকে সৃষ্টি করে বুদ্ধদেব বসুর নায়িকাকে বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছি। গল্পের ভেতর আমরা সারাক্ষণ তাঁকে মুগ্ধ নয়নে ঘিরে রাখি । আমাদের তিনজনে সঙ্গে হেসে হেসে কথা বলে , আনন্দে গান গায়।
– খুবই ইন্টারেস্টিং! তারপর গল্প পড়ে বুদ্ধদেব বসু কি বললেন?
– জানেন হাসান ভাই, বসু লিখেছেন, আমার চিঠি পড়ে ঢাকার একটা চঞ্চল ও সজীব সাহিত্যিক আবহাওয়ার আভাস পেয়ে উনি খুব খুশি। আমার মাঝেও অনেক সম্ভাবনা দেখতে পেয়েছেন বলে লিখেছেন!
– হ্যাঁ, এখানেই তো তাঁর গুরুত্বপূর্ণ একটা সময় কেটেছে অজিত দত্তের সাথে। প্রেমেন্দ্র মিত্রকে জগন্নাথ কলেজে দেখেছিলেন কিন্তু তেমন আলাপ হয়নি এখানে থাকতে। পরে কোলকাতায় গিয়ে নতুন করে সম্পর্ক হল।
– উনি লিখলেন, “ তোমার ‘ আমরা তিনজন’ গল্পটি এইমাত্র পড়ে উঠলাম । পড়তে পড়তে নিজের ছেলেবেলার কথা বারবার মনে পড়ছিল আমার – ১৯২৫- ২৬-এর পুরানা পল্টনে , যখন আমিও বন্ধুদের নিয়ে তোমাদেরই মতো পথে পথে ঘুরে বেড়াতাম । তোমার লেখা থেকে অনুমান করা গেল ঢাকা কত বদলে গেছে , কত নতুন রাস্তা , পার্ক , সিনেমা হয়েছে , কিন্তু আমার চোখে এখনো ভাসে সেই বিশাল প্রান্তর , আমার জানালা থেকে সোজা রেললাইন পর্যন্ত ছড়ানো । আমি বুঝতে পারছি তোমার লেখার হাত আছে , কিন্তু বড্ড বানান ভুল করো এখনো , আশা করি কালক্রমে সেগুলো শুধরে যাবে ।
– হা হা হা!
– উনি ঢাকার সমসাময়িক লেখকদের লেখা পড়তে চাইলেন। আমি আলাউদ্দিন আল আজাদ , সৈয়দ শামসুল হক , জহির রায়হান , সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ – এই চার লেখকের চারটি বই , সেই সঙ্গে চিঠির উত্তর দিলাম । কবি বুদ্ধদেব বসু বই-প্রাপ্তি সংবাদ ও চিঠির উত্তর দিলেন । চিঠির সঙ্গে তাঁর ‘ ভাসো, আমার ভেলা ‘ গল্পগ্রন্থ উপহার পাঠালেন। লিখলেন , ‘ সিরাজউদ্দিন আহমেদ / কল্যাণীয়েষু / বুদ্ধদেব বসু / ২৫ মে, ১৯৬৭/ কলকাতা ‘।
– বইটা আমাকে পড়তে দিয়েন তো! আচ্ছা, এর পরেও চিঠি দিয়েছেন?
– হ্যাঁ। চিঠিটা সাথে আছে। এই যে — লিখেছেন, “ তোমার চিঠি আর তোমার পাঠানো বই ও পত্রিকাগুলো একই সঙ্গে এসে পৌঁছালো । অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি । ঢাকার কবিদের মধ্যে অনেকের লেখার সঙ্গেই আমি ‘ কবিতা’র সময় থেকেই পরিচিত , কথাসাহিত্য বিষয়ে বিশেষ কিছু জানতুম না , তোমার সৌজন্যে সে-বিষয়েও কিছু ধারণা পাওয়া গেল । সবগুলো এখনো পড়ে উঠতে পারিনি , তবে মনে হলো কারো-কারো রচনায় বেশ বৈশিষ্ট্য আছে । কিন্তু অনেকেই এমন বিশৃঙ্খল বানান লেখেন যে অনেক চেনা শব্দকেও অচেনা মনে হয় । অবশ্য বানান নিয়ে পশ্চিম বাংলার তরুণ লেখকরাও যে অবহিত তা নয় , কিন্তু অনেকেই ভুল করেন ব’লে ভুলটাই সমর্থনযোগ্য হয় না । এবং ভাগ্যক্রমে তার সংশোধনও দুঃসাধ্য নয় । তোমার এ-চিঠিটাতে বানানভুল প্রায় নেই ।“
– এবারে তো বানানের সার্টিফিকেটও পেয়ে গেলেন!
– হা হা হা! হ্যাঁ, আগের চিঠিতে আমার গল্পে বানানভুলের কথা লিখেছিলেন। আরো লিখেছেন, ঢাকার স্মৃতি তাঁর অনেক লেখাতেই আছে। লিখেছেন, “ ঢাকায় প্রথম যখন বেতার-কেন্দ্র খোলা হয় তখন আমি এখান থেকে নিমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলাম – আর গিয়েছিলেন নজরুল ইসলাম । ঢাকার রেডিওতে পড়ার জন্যই ‘ আবছায়া’র রচনা। আমি বহু গল্পে উপন্যাসেই ঢাকার পটভূমিকা ব্যবহার করেছি ; সম্প্রতি ‘অমৃত’ সাপ্তাহিকে আমার ‘ গোলাপ কেন কালো ‘ নামে একটি উপন্যাস ধারাবাহিকভাবে বেরোচ্ছে , তারও ঘটনাস্থল ঢাকা ।“

আবুল হাসান বইটা নিয়ে চলে গেলেন। পড়েন আর মুগ্ধ হন। এমন কাব্যময় গল্প অনেকদিন পড়েননি। হাসানের নিজের গল্পগুলোও খুবই কাব্যিক, অনেক ক্ষেত্রে গল্পগুলোতে গল্পই নাই। কিন্তু বসুর গল্পগুলোতে গল্পতো আছেই, কবিতাও আছে। বুদ্ধদেব বসুর গল্প পড়লে মনে হয় ইংরেজি বাকরীতি অনুসরণ করে নতুন একটা বাকরীতির নমুনা সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু পরিণত বয়সের গল্পগুলো পড়তে গিয়ে হাই তুলতে তুলতে রেখে দিলেন হাসান। যাই হোক, এই বইটা সংগ্রহে রাখা চাই! বইটা তিনি সিরাজকে ফেরত দিবেন না — বুদ্ধদেব বসুর সাক্ষর করা বই বলে কথা!

সিরাজ তো বই পাওয়ার আনন্দে, উত্তেজনায় বইটা ভালো করে পড়েও দেখেননি! তিন মাস পরেও যখন বইটা ফেরত পেলেন না, একদিন বিউটি বোর্ডিং-এর বাগানে হাসানকে পাকড়াও করলেন-
– হাসান ভাই, আমার বইটা –
– ঐ বই তো তুমি পাবে না।
– মানে?
– তুমি তো বইটা আমাকে দিয়ে দিয়েছ।
– কী বলেন? বুদ্ধদেব বসু নিজে অটোগ্রাফসহ বইটা আমাকে পাঠিয়েছেন! আমি আপনাকে ধার দিয়েছি। দিয়ে তো দিইনি! দিব কেন?
– শোনো, পাঁচ টাকা লাগবে। তাহলে বইটা ফেরত পাবে।
– এ কেমন কথা। আমার বই কালকের মধ্যে ফেরত দিবেন! নইলে আমি দেখে নিব।
– কী দেখে নেবে তুমি? বলেই হাসান রেগেমেগে সিরাজের জামার কলার ধরে বসলেন!
এমন সময়ে একজন সাহিত্য অনুরাগী, ধোপ দুরস্ত পোশাকের শ্রমিক নেতা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বিউটি বোর্ডিং-এ ঢুকছিলেন। তিনি হাসানকে নিরস্ত করলেন। হাসানকে তিনি ভালোভাবেই চিনতেন। পুরো ঘটনা শুনে নিয়ে ব্যপারটাতে মধ্যস্থতা করলেন। জাহাঙ্গীর ভাই বললেন, সিরাজকে বইটা ফেরত দিয়া দাও। পাঁচ টাকা দিয়া কি করবা আমাকে বলো, আমি তোমাকে টাকা দিব!

পরের সপ্তাহে আবুল হাসান বইটি নিয়ে এলেন বিউটি বোর্ডিং-এ।
– তুমি কি আমার সেই কবিতাটা পড়েছ? রুমানা বুদ্ধদেব বসুর উপন্যাস পড়ে পড়ে উপন্যাসের নায়িকাদের মতোই জ্বরে ভুগত?
– না, হাসান ভাই, পড়া হয়নি আমার।
– বুদ্ধদেব বসুর কবিতা যত না সংক্রামক, তাঁর গল্পের বর্ণনাগুলো তাঁর চাইতেও বেশি সংক্রামক মনে হয়েছে। তাইতো বইটার মালিকানা দখল করতে চেয়েছিলাম। আসলে, আমার কাছ থেকে কেউ কখনো বই ফেরত চায় না। তুমি চেয়েছিলে, তাই রাগ হয়েছিল। তোমার প্রতি এক ধরণের ঈর্ষাও হয়েছিল!
– কবিতা তেমন একটা পড়া হয় না। আপনার ছোটগল্প পড়েছি কয়েকটা।
– ঐ হইল। ঐগুলাও তো কবিতাই। গল্পের পত্রিকা তাই গদ্যের মতো করে লেখা!
এ কথা শুনে সিরাজের চোয়াল ঝুলে গেল!

হাসান রেস্তোরাঁর নিচু জানালার ফাঁক দিয়ে বাইরে তাকালেন, যেখানে লাল মোরামের রাস্তা ধরে এক পাশে লতাপাতা- ঘেরা ফুলের বাগান, মাঝখানে সবজেটে ঘাসের উঠোন – কিছুক্ষণ চুপচাপ নিস্পলক তাকিয়ে রইলেন। তারপর পকেট থেকে শাদা কাগজ আর কলম বের করে লিখলেন,
পৃথিবীতে আজ বড় অবিশ্বাস!

কখনো কান্নার কাছে মুখ নিয়ে মানুষ দেখিনি!

সৌর মাইল দূরে কান পেতে কম্পমান আত্মার ভিতরে আজ

অলৌকিক
দেখছি তোমাকে, তুমি ভালো আছো?

নিচে সাক্ষর করে কাগজের টুকরোটা সিরাজকে দিলেন, ‘ এই নাও, তোমার ক্ষতিপূরণ দিলাম।‘
সিরাজ কবিতাটা বইয়ের ভেতর রেখে দিল। আজ রাতে সে ‘ভাসো, আমার ভেলা’ নিয়ে বসবে।

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত