-‘মাস্টারের ব্যাটা বাইজ্জাবা নাকি? হামার এশকায় আসো’
বলে পান খেয়ে লাল বানানো দু’কপাটি দাঁত বের করে আমার দিকে তাকিয়ে হাসলো মোজা মিয়া। পুরো নাম মোজাফফর অথবা মোজাম্মেল কোনো একটা হবে৷ গরীব মানুষ নামের মর্যাদা রাখতে পারেনা। যত ভাল নামই হোক, মুখে মুখে শেষে হাস্যকর কিছু একটাতে পরিণত হয়ে যায় এবং নাম হিসেবে সেই লোক সেটা মেনেও নেয়। মোজা মিয়াও হয়ত বলতে পারবেনা তার নাম মোজাফফর ছিল নাকি মোজাম্মেল।
হাতে কোনো কাজ ছিল না। তবু বন্দরে আরেকটু ঘোরাফেরা করে আরেক কাপ চা আর মাদ্রাসার পিছনে লুকিয়ে আরেকটা সিগারেট খেয়ে বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু মোজা চাচার এমন হাস্যবদনে করা বাড়ি যাওয়ার আবেদন অগ্রাহ্য করতে পারলাম না।
-এখনই যাবা?
-হ, আল্লা বাঁচাইলে এলাই যামো। একটা কাপ চা খাইয়া নেই খালি। চা খাবা নাকি বা? এ মাস্টারের ব্যাটাকো এক কাপ চা দে। কি চা খাবা? দুধ চা? এ মাস্টারের ব্যাটাক কড়া করে একটা দুধ চা দে।
ভারি বিপদ। আমাকে প্রশ্ন করে উত্তর দেয়ারই সুযোগ দিল না৷ আমি চা খাবো কিনা, খেলেও রঙ চা না দুধ চা এট্টুক শোনার সৌজন্যতাটুকু না দেখিয়ে কড়া করে দুধ চা অর্ডার দিয়ে বসলো। মোজা মিয়ার মত স্বল্প জ্ঞানের স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে সৌজন্যতা আশা করা বাড়াবাড়ি অবশ্য৷ এরা ভীষণ ঝামেলা করে। আমাকে সেধে চা অফার করার কারণ আমি যখন বিলটা দিবো সাথে তারটাও দিবো। এ লোক চায়ের পর সিগারেটও নিবে আমার ধারণা। সারা বছর পাঁচটাকায় দশটা তাজবিড়ি কেনা মোজা মিয়া রয়েল কিংবা ডার্বি নেবে। পরে যখন আমি বিল দিতে যাবো একটু অভিনয় করবে ‘হামি দেই, হামি দেই বাহে’ বলে কিন্তু পকেটে হাত দেবেনা একবারো। গরীব মানুষের অনেক ঝামেলা।
অর্ধেক চা-ই শেষ করতে পারিনি, সে পুরোটা শেষ করে কাপ রাখতে রাখতে প্রায় চিৎকার করে সবাইকে শুনিয়ে শুনিয়ে বললো,
‘একটা গুল্লিফ দেও’
আমার ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে একেবারে গোল্ডলিফ চেয়ে বসলো৷ বিরক্তি এসে গেল, এই লোকের পিছনে এত টাকা খরচ করার কোনো ইচ্ছা নেই আমার৷ তবু করতে হবে, ফেসভ্যালু থাকার এই একটা সমস্যা।
সিগারেট নেবার পর পান নিতে নিতে বললো,
-পান খাবানি বা?
-না
-সেগরেট টানো নি?
-না, সিগারেট খাইনা। বিল কত হইছে টোটাল? দিয়া দেই
-ওরে না না। নাউজুবিল্লাহ, করেন কি? তোমরা স্টুডেন মানুষ, তুমি বিল দিবা ক্যা! হামি দিতেচি।
আমার ধারণাকে পুনরায় ভুল প্রমাণ করে বিল দিতে দিল না। শেষে চায়ের বিলটা অন্তত দিতে চেয়েছিলাম, সেটাও পারলাম না। আমার চায়ের বিলসহ পুরো বত্রিশ টাকাই দিয়ে দিল। অতঃপর আমাকে ইশারা করে রিকশায় উঠতে বলে বিড়বিড় করে ‘বিচমিল্লা’ বলে যাওয়া শুরু করলো।
রিকশায় উঠে অপরাধবোধ ভর করলো আমার। মিছেই মোজা মিয়ার উপর বিরক্ত হয়েছিলাম! ভেবে দেখলাম আমি এই শ্রেণির লোকদের খাওয়ায়েছিলামই বা কবে? খুব কমই, আর খাওয়ালেও ৫ টাকা ১০ টাকার বেশি নয়৷ এর বেশি খাইতে চাওয়ার চাহিদা ওনাদের নেই, সাহসও বোধহয় নেই৷ তবু কেন ওনাদের দেখলেই ভয় হয়- এই বুঝি পান-সিগারেট চেয়ে বসে! ঢাকায় কারো সাথে টঙে বসে শুধু নাস্তাপানির বিলই হয় দুইশ টাকা। এক বসায় দুই-তিনশ টাকা বিল আসা শহুরে ক্লাসের তুলনায় আমার পরিবার নিতান্তই নিম্ন মধ্যবিত্ত। কিন্তু তবু ‘আমি দেই আমি দেই’ বলে কতবার আগ বাড়িয়ে বিল দিয়েছি এখানে। কিন্তু গ্রামে যেখানে দুইজনে নাস্তা খেয়েও চল্লিশ টাকার উপরে বিল নিয়ে যাওয়া যায়না, সেই গ্রামের স্টান্ডার্ডে তো আমি উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। তবু এখানে কেন বিরক্তি আর ভয় হয় বিল দিতে হবে বলে? কি ব্যাখ্যা এর সাইকোলজিতে?
.
মোজা মিয়া খুব ফুরফুরে মেজাজে আছে মনে হচ্ছে। বাজার পেরোতে পেরোতে অনেকের সাথে মশকরা করছে আর এগোচ্ছে। রিকশা টানছে, দরদর করে ঘাম ছুটছে শরীরে কিন্তু মুখে হাসি আর বাজারের মানুষের সাথে মশকরা থেমে নেই। একটু পর বাজার পেরিয়ে ফাঁকা রাস্তায় এলাম। হঠাৎ মোজা মিয়া আসমানের দিকে মুখ করে একরাশ ধোঁয়া ছেড়ে পিছন ফিরে বললো,
-কি বাহে মাস্টারের ব্যাটা, ঢাকাজ্জাবা কবে?
রাস্তাঘাটে কথা বলার মানুষ আর নেই বলে হয়তো আমার সাথে গল্প জুড়ে দেবে এখন। বাতাসের কারণে রিকশাওয়ালাদের অর্ধেক কথা বোঝা যায়না বলে আমি সাধারণত চুপ করে থাকি কিংবা কিছু না বুঝে ‘হু, হু ঠিকি তো’ বলে অন্ধ সায় দিয়ে যাই। কিন্তু এবার চায়ের বিলজনিত কারণে ঋণগ্রস্ত হয়ে পরেছি। পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে কথা বলা উচিত।
-কি কইলা চাচা?
-কনু যে ঢাকাত জাবানান আর? ন্যাকাপড়া শ্যাষ?
-না শেষ না। যাবো, লকডাউন শেষ হলেই যাবো।
-করুনা, লকডাউন ইল্লা আর কদ্দিন চলবি বাহে?
-সেটা তো বলা যায়না চাচা।
-হেশ-শালাহে, চলুক, কদ্দিন চলে চলুক।
বলে হে হে করে হাসতে লাগলো। লকডাউন বিশেষ কোনো হাস্যকর ব্যাপার না যে মোজা মিয়ার এভাবে হাসতে হবে। বোঝা গেল ওনার সত্যিসত্যি মন ভালো আজ। নইলে লকডাউনের কথা উঠলেই ‘ওগল্যা কিছু নয়, সরকারি চাল!, বসে বসে বেতন খাচ্ছে, লকডাউন তো দিবিই’ টাইপের কথা বলতো৷ এত খুশির কারণ কি না বুঝে চুপচাপ বসে আছি৷ খানিক পরে আবার মোজা মিয়া পিছন ফিরে বললো,
-আইজ কোমা শইলটা ম্যাজম্যাজ কত্তিছিল। তাই একটা ঠান্ডা খানু।
-ঠান্ডা?
-আরসি গুলা বাহে। কালোটা।
-কালো আরসি? পেপসি নাকি?
-হবার পারে। কালো আরসিগুলার ঝাঁঝ বেশি৷ খাই, পেরাই পেরাই ই খাই।
কোল্ডড্রিংকসের সাথে শরীর ম্যাজম্যাজ রোধ করার সম্পর্ক কি আমার জানা নেই৷ তবে মোজা মিয়ার এই কথাটা আমাকে বলার উদ্দেশ্য কি আন্দাজ করতে পারি। আমাকে শোনানো যে একটা ঠান্ডা ড্রিংক্সের বোতল, যেগুলো শুধু কোরবানির ইদের পরে কিনে খাওয়া হয়, সেটা আজ কিনে খেয়েছে৷ পেপসি কিনে খেয়ে লাক্সারি করেছে সে। লাক্সারির খবর কাউকে না জানালে তৃপ্তি পাওয়া যায়না। এজন্যই গোল্ডলিফটাও সবাইকে শুনিয়ে নিয়েছিল।
-বেশ তো। মাঝেমাঝে খাওয়া ভালো৷
-ওহ হো, মাস্টারের ব্যাটা সই হইয়া বসেন। প্যান জানি না ভেজে। মনেই নাই কবার বাহে, দ্যাখোতো!
-প্যান্ট ভিজবে মানে?
-ছিটের তলে গোস্তো আছে বাহে। কেবল নিনু, পানি আছেই।
-সিটের তলায় গোশত? কিসের মাংস?
-ক্যা! গরুর।
এমন নির্ভারভাবে অবাক হবার ভান করে উত্তরটা দিল যেন ওখানে গরু ভিন্ন অন্যকিছুর মাংস থাকতেই পারেনা। রিকশার সিট বেশ মোটা হয়। সিটের তলাটা মোটামুটি বাক্সের মত। সেখান থেকে মাংসের গায়ে লেগে থাকা পানি কোনোক্রমেই সিটের উপরে এসে আমার প্যান্ট ভেজানোর কথা না। এটা মোজা মিয়া ভালো করেই জানেন৷ কিন্তু গরুর মাংসের বিলাসিতা না জানালেই যে নয়৷
-গরুর মাংস নিছেন নাকি চাচা? আত্মীয় স্বজন আসবে নাকি।
– না না, সাগাই টাগাই আইবো না। ছোটছোলটা কয়দিন থেকে খাবার চাচ্ছে বাহে। ঢাকাদ্দিকে ক্যাংকা দাম গরুর গোস্তের?
-কিজানি! বাজার টাজার তো করিনা৷ হলে থাকি।
-তিন পোয়া গোস্তো নিনু বাহে তিনশ আশিটা ট্যাকা নিলি! খাওয়া আছে কোন্টে! তিনশ আশি ট্যাকা!
-হঠাৎ করে এত টাকা দিয়ে বাজার সদাই করলেন যে?
-না পেরাই পেরাই ই কিনি।
এবার এত বেশি মেকি নির্ভার হয়ে উত্তর দিল যে, কথা বলার ভাব দেখেই বুঝে গেলাম প্রায় প্রায় সে মাংস কেনেনা। আজ বিশেষ কোনো কারণে কিনেছে। সেই বিশেষ কোনো কারণে তার মনটাও আজ ফুরফুরে। প্রায় প্রায় কিনলে আমাকে জোর করে শোনাতো না।
-আজ কখন বের হইছিলা গো চাচা?
-বারাছিনু ফুটিল-বিহানে।
-সেজন্য আজ তাড়াতাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন নাকি?
-না সেটাও নয়। আর কত কামামো। আজ বিহান থেকে একন পর্যন্ত নয়শ ট্যাকা কামাইছি। নয়শ!
-এত টাকা কেমনে?
-বন্দর থেকে থানা কয়েকটা খ্যাপ মাচ্ছি বা টানা। চায়না লোক, যা ভাড়া কছি তাই দিছে৷ দুইবেলা নয়শ কামাইছি এই গাড়িখ্যান নিয়া। নয়শ! হে হে৷
মোজা মিয়ার ফুরফুরে মেজাজের কারণ এবার বুঝলাম। বিশ্বরোড ফোর লেন বানানোর কাজ চলছে৷ চাইনিজ কিংবা কোরিয়ান লোকজন কাজ করে সেখানে। ওদেরকে নিয়ে ভাড়া মেরেছিল। কথায় কথায় শুনলাম মোজা মিয়া কন্টাক্ট ছাড়া নিয়ে যায় তাদের। পরে ষাট টাকার জায়গায় একশটাকা চেয়ে বসে এবং বোকা বিদেশিরা সেটাই দিয়ে দেয়। একশ টাকার ট্রিপ মেরে মেরে পুরা নয়শ পুরেছে পকেটে৷ এমনিতে ডেইলি তিনশ সাড়েতিনশর বেশি কামাই হয় না, সেখানে পুরা নয়শ টাকা! অতিরিক্ত টাকার খুশি তো আছেই, সাথে যুক্ত হয়েছে প্রতি ট্রিপে চল্লিশ টাকা করে ঠকানোর খুশি৷ জীবনে ঠকে ঠকে বড় হওয়া মোজা মিয়ার কাউকে ঠকানোর এমন দূর্লভ সুযোগ কাজে লাগাতে পেরে খুশি হবারই কথা। এমন সুযোগ দেয়ায় ইশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ সে। মহান ঠকানোর কাহিনী খুব গর্বের সাথেই বললো আমাকে। বিশেষ করে বিশিষ্ট বিদেশি ভদ্রলোককে ঠকানো তো ওনার মত মোজা মিয়ার স্বপ্নাতুর কল্পনা! এই দুনিয়ায় সবই সম্ভব!
-তাইলে তো চাচা আপনার কাছে আরো অনেক টাকা বাড়তি আছে।
-হ বাজান, ম্যালা ট্যাকা খরচা কন্নু, কইলে কবা কি, তাও শও তিনেক ট্যাকা আছে পকেটে।
-মাশাল্লাহ! সবই আল্লাহর শান।
-কালকে আর বাইর হমু না৷ শইলটা কোমা ম্যাজম্যাজ করে৷ কাইল এস্টে থাকমু।
রেস্টে থাকাই উচিত। মোজা মিয়া চাচার ফিনফিনে কাপড়ের পকেট-একাউন্টে বর্তমানে তিনশ টাকা জমা আছে৷ তার কাপড়ের তৈরি এই চলতি একাউন্ট হঠাৎ সেভিংস একাউন্টে পরিণত হয়েছে। এত টাকা থাকা সত্ত্বেও যদি ডেইলিই খাটা লাগে তাহলে কেমন কথা?
.
বাড়ি এসে গেছে প্রায়। মোজা মিয়া আমার বাড়ি জানে, কিন্তু খুশির ঠেলায় মনে বোধহয় নেই। রিকশা স্লো করছেনা৷
-চাচা স্লো করো, স্লো করো৷ কই নিয়া যান আমারে!
– আউ বাড়ি আইসা গ্যাছে। খেলই করি নাই দ্যাখোতো!
বলে রিকশাটা মেইন রাস্তার পিচ থেকে সরিয়ে সাইডে ঘাসের উপর নিলো। নামার প্রিপারেশন নিচ্ছি হঠাৎ বিকট একটা শব্দ! কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখি রিকশা এক দিকে বেঁকে নিচু হয়ে গেছে৷ ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে গেলাম। মোজা মিয়া লাফ দিয়ে নেমে কাত হয়ে নিরীক্ষা করলো। অতঃপর ঘাসের উপরই ল্যাটাপ্যাটা হয়ে বসে বললো,
-গুয়া মারা সারা! কোন বান্দির পুতে কাঁচের বোক্তোল রাখছে এ জাগায়?
লক্ষ্য করে দেখলাম একটা আধাভাঙা কাচের সিরাপের বোতল গেঁথে গেছে চাকায়। টায়ার টিউব সব ফেটে হঠাৎ বাতাস বের হয়ে এমন বিকট শব্দ করেছে। ভিতরের হাই প্রেশারে থাকা বাতাস আচমকা ফুটা পেয়ে হৈহৈ করে বেরোতে গিয়ে টায়ারের গায়ে জোরে জোরে ঘর্ষণে এমন গগনবিদারী আওয়াজ তুলেছে। বাতাসের আনন্দে আমাদের কানতালি লেগে গেল।
নিঃসরণের এসব ফিজিক্স মোজা মিয়া জানেনা৷ সে কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে বসেই আছে। বসে থেকে টায়ার এক হাত দিয়ে টিপতে টিপতে বললো,
-শ্যাষ! হাজার ট্যাকার মামলা! কোন ব্যাক্কলের বাচ্চা এ কাম কচ্চে!
আবার টাকার হিসাব শুরু করে দিল মোজা মিয়া। যে সেভিংস একাউন্টে তিনশ টাকা জমা ছিল মিনিট দশেক আগেই, সেখানে এখন সাতশ টাকার ঘাটতি। প্রচন্ড আপসেট হয়ে গেলাম মোজা মিয়ার জন্য৷ নয়শ টাকা কামাইয়ের যে খুশি নিয়ে ছোটছেলের জন্য তিনপোয়া গরুর মাংস কিনে বাড়ি যাচ্ছিল মোজা মিয়া, সেই বাড়িতে যাওয়া পর্যন্তও খুশিটা টিকলো না৷ উলটো আরো কামাইয়ের চিন্তাই করতে হবে বোধহয়৷ এখন আর শরীর ম্যাজম্যাজ করাকে প্রশ্রয় দেবেনা হয়ত সে, কালকেই ইটের ভাটায় গিয়ে কষ্টের কাজ করবে, নইলে হাজার টাকার মামলায় চালান খেয়ে যাবে।
একবার ভ্রম হলো সিনেমার মত গায়েবি আওয়াজ কোত্থেকে জানি আসছে। মোজা মিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলছে ‘গরীবদের দিন ফিরবে কিভাবে? হাতে বেশি টাকা থাকলেই সেভ করার চিন্তা নাই, গরু খাও, গোল্ডলিফ খাও, পেপসি খাও, রেস্ট করো, এটা সেটা৷ তুই গরীব তুই রেস্ট নিবি কেন?’
মোজা মিয়া রিকশা হাতে ঠেলে ঠেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। আমি পকেট থেকে দশটাকার জায়গায় বিশটাকা বের করে বললাম,
-পুরোটাই রেখে দ্যান৷
মোজা মিয়াও কোনো বাক্য ব্যয় ছাড়া পুরোটা রেখে দিল। আমি যে স্টুডেন্ট মানুষ এবার সেটা আর তার মনে উদয় হয় নাই।